কীভাবে আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোন এবং কম্পিউটার সিকিউর রাখবেন???

কীভাবে আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোন এবং কম্পিউটারটি সিকিউর রাখবেন?


বর্তমান সময়ে এন্ড্রয়েড ফোন অথবা ল্যাপটপ ব্যবহার করেনা এমন মানুষ খুঁজে পাওয়াই দুষ্কর। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে টেকনোলজি ব্যবহারকারীদের সংখ্যাও ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলেছে।
তবে ব্যবহারকারীদের সংখ্যাটা বাড়লেও আমাদের অনেকেরই জানা নেই সাইবার ক্রাইম সম্পর্কে অথবা, নিজের ডিভাইসটি আধো সুরক্ষিত কিনা অথবা, কিভাবে সুরক্ষিত রাখা যায়???

২০১৪ এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশে এন্ড্রয়েড ডিভাইস ইউজার ছিল ১১৪ মিলিয়ন, যেটা ২০১৭ এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী বেড়ে দাড়িয়েছে  ১২১ মিলিয়নে যেখানে বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬৪ মিলিয়ন।[Source : GeoHive - Current World Population]

১২১ মিলিয়ন ইউজারদের মধ্যে দক্ষতার সাথে এবং সুরক্ষিত উপায়ে ইউজারের সংখ্যাটা মাত্র ১২.৪৩ মিলিয়ন। তাহলে নিজেই চিন্তা করুন আপনি ওই ১২.৪৩ মিলিয়নের একজন নাকি বাকী ১০৮.৬৭ মিলিয়নের একজন?

আপনাকে সুরক্ষিত উপায়ে দক্ষতার সাথে নিজেদের ডিভাইস ইউজ করতে হলে জানতে হবে-
  • সাইবার ক্রাইম কী?
  • স্পাইওয়্যার/ম্যালওয়্যার কী? এবং 
  • কীভাবে এসব টুলসের থেকে নিজের ডিভাইসকে সুরক্ষিত রাখবেন?

সাইবার ক্রাইম কী?

সাইবার ক্রাইম বলতে এমন এক অপরাধকে বুঝানো হয় যেটার সংগঠন প্রক্রিয়া অনলাইনের মাধ্যমে আপনার নজর এড়িয়ে আপনার সকল ইনফরমেশন অন্য কেউ চুরি করে নিয়ে যায়।
অর্থাৎ, অনলাইনে কোনো অপরাধ সঙ্গঠনের প্রক্রিয়াকেই সাইবার ক্রাইম বলা হয়।

উন্নত বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ানক এবং অপরাধের শীর্ষে রয়েছে সাইবার ক্রাইম।  বিভিন্ন নতুন আইন প্রতিনিয়তই প্রণয়ন করা হচ্ছে সাইবার অপরাধীদের বিরুদ্ধে।
বর্তমানে বহুল আলোচিত সাইবার ক্রাইমগুলো হচ্ছে-

১। সাইবার পর্ণগ্রাফী,
২। হ্যাকিং,
৩। স্প্যামিং,
৪। ই-মেইল বোম্বিং অ্যান্ড স্প্যামিং,
৫। ডেনিয়েল অব সার্ভিস অ্যাট্যাক,
৬। সাইবার স্টকিং,
৭। ক্রেডিট কার্ড ফ্রড
৮।ওয়েব জ্যাকিং ইত্যাদি।

সাইবার ক্রাইম

স্পাইওয়্যার এবং ম্যালওয়্যার কী?

 ম্যালওয়্যার হচ্ছে ম্যালিসিয়াস সফটওয়্যারের (ক্ষতিকারক কম্পিউটার প্রোগ্রাম) সংক্ষিপ্ত রূপ। আমরা অধিকাংশ কম্পিউটার/মোবাইল ফোন ইউজাররা যেটাকে ভাইরাস হিসেবে মনে করি আসলে সেটাই হচ্ছে একধরনের ম্যালওয়্যার প্রোগ্রাম।


ম্যালওয়্যারের মধ্যে ১২ ধরনের ভাগ আছে। আমরা সাধারণত ৩-৪ ধরনের ম্যালওয়্যারের সম্মুখীন হই।  সেগুলো হচ্ছে-
  • ভাইরাস
  • স্পাইওয়্যার
  • ট্রোজান
  • ওয়ার্ম ইত্যাদি।


স্পাইওয়্যার এবং ট্রোজানের কাজ অধিকাংশই একই। দুটোই অ্যাান্ড্রয়েড এবং কম্পিউটার ডিভাইসের সকল ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাস করতে এবং নষ্ট করে দিতে সক্ষম। আমাদের অজান্তেই এসব ম্যালিসিয়াস প্রোগ্রাম আমাদের সকল তথ্য চুরি সহ বিকৃতি করে থাকে।
একটু সচেতন হলেই আপনিও এসব প্রোগ্রাম থেকে নিজের ডিভাইসকে সুরক্ষিত রাখতে পারবেন।


কীভাবে নিজের ডিভাইসকে সুরক্ষিত রাখবেন এবং ক্ষতিকর প্রোগ্রাম আক্রমনে করণীয়.....




১। আপনি যখন কোনো ওয়েব সাইটে ব্রাউজ করবেন অবশ্যই নিশ্চিত হয়ে নিন এটা কোনো স্প্যামিং সাইট কিনা।

২। অ্যান্ড্রয়েড অথবা ওয়েব প্লেস্টোর থেকে কোনো অ্যাপ্স ইন্সটল করার পর আপনার যে কাজের জন্য অ্যাপ্সটা ইউজ করবেন শুধু সে অ্যাক্সেসটা দিবেন। অন্য কোনো অ্যাক্সেস চাইলে দিবেননা। আপনার নির্দিষ্ট অ্যাক্সেস দেওয়ার পরে যদি অ্যাপ্সটা আপনাকে ইউজ করতে না দেয় তবে শতভাগ নিশ্চিত এ অ্যাপ্স আপনার ডিভাইসের সকল ইনফরমেশনের জন্য ক্ষতিকর এবং যেকোনো বিপদের সম্মুখীন আপনি হতে পারেন।

৩। অ্যান্ড্রয়েড প্লেস্টোর ব্যাতীত কোনো লিঙ্কে গিয়ে অ্যাপ্লিকিশন ডাউনলোড করবেননা সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিত না হয়ে।

৪। কোনো প্রকার প্রলোভনে পড়ে কোনো সফটওয়্যার ইন্সটল করা থেকে বিরত থাকুন এবং গুরুত্বপূর্ণ ইনফরমেশন দিয়ে কোনো অনলাইন ফরম পূরন করা থেকে বিরত থাকুন।

৫। একই পাসওয়ার্ড একাধিক প্রাইভেসি প্রটেকশন হিসেবে ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।


কীভাবে বুঝবেন আপনার ডিভাইসটিতে ম্যালওয়্যার অ্যাক্টিভেট কিনা?

অ্যাটাকের পরবর্তী করণীয়...

আপনার ডিভাইসটি সাধারন স্পীডের তুলনায় স্লো হয়ে যাবে এবং আপনার সংস্পর্শ ছাড়াই অনেক ধরনের সমস্যার সৃষ্টি করবে যেটার সাথে আপনি পরিচিতও হতে পারেন আবার অনেক অপিরিচিত সমস্যাও দেখতে পবেন।

এমন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার সাথে সাথেই করণীয়-

১। আপনার ডিভাইসের ইন্টারনেট সংযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন করুন এবং সমস্যার সমাধান না করে ইন্টারনেট সংযোগ ডিভাইসের সাথে সংযুক্ত করবেন না।

২। আপনার ডিভাইসের সি ড্রাইভে অথবা ডট অ্যান্ড্রয়েড ফাইলে গিয়ে চ্যাক করুন এবং সেখান থেকেই ডিলিট করুন যদি উল্লেখিত কোনো ক্ষতিকর প্রোগ্রাম থেকে থাকে। তারপর ওই সফটওয়্যার আনইনিস্টল করুন।

৩। পূর্ব করণীয় ঃ অ্যান্টি ম্যালওয়্যার পেইড সফটওয়্যার ব্যবহার করুন।



No comments

Powered by Blogger.