করোনা ভাইরাসের সকল তথ্য
করোনা কী?
করোনা হচ্ছে এক ধরনের ভাইরাসগুচ্ছ যা অনেক ভাইরাসের সমন্বয়ে গঠিত এবং এটি প্রানীর থেকে মানুষের মধ্যে ছড়াতে সক্ষম। সম্প্রতি করোনা ভাইরাসকে সারা বিশ্বে
মহামারী হিসেবে চিহ্নিত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা(WHO).
করোনাভাইরাসে আক্রন্তের লক্ষন ঃ
-> ঠান্ডা, জ্বর, সর্দি কাশি এবং শ্বাসকষ্ট ইত্যদি প্রধান লক্ষন এছাড়াও
-> যারা অন্যান্য রোগে ভুগছেন তাদের করোনা আক্রান্তের ঝুকি বেশী।
করোনা ভাইরাস থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখার উপায় ঃ
নিম্নোক্ত উপায়গুলো মেনে চললে আমরা করোনা ঝুঁকি এডিয়ে যেতে পারি-
১। জনসমাগম এড়িয়ে চলা,
২। অপ্রয়োজনে বাসা থেকে না বের হওয়া,
৩। হাচি, কাশি, জ্বর এসব রোগীদের থেকে দূরে থাকা,
৪। মাস্ক, গগলস ইত্যাদি ব্যবহ্যার করা,
৫। নিজেকে পরিষ্কার-পরিছন্ন রাখা,
৬। বাসার বাইরে অথবা বাসায় কোনো কিছু হাত দিয়ে ধরার পর হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা এবং
৭। সরকারি বিধি অনুযায়ী সকল নিয়ম মেনে চলা।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর ঊপায়গোলো নিম্নে বর্ণনা করা হল ঃ
১) প্রোটিন :
প্রোটিন গ্রহণ করা খুবই প্রয়োজন। প্রোটিন আমাদের দেহের বিভিন্ন ঘাটতি পূরণ করে। বিভিন্ন রোগ বালাই মোকাবেলা করতে প্রোটিনের জুড়ি নেই। শরীরের অভ্যন্তরীণ শক্তি বাড়াতেও প্রোটিন বেশ কার্যকরী। রোগ বালাই, ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঠেকাতে উন্নত মানের প্রোটিন গ্রহণ করা অতীব জরুরি। ডিম, মুরগীর মাংস, সামুদ্রিক মাছ, কচু শাক ও বিভিন্ন প্রকার ডালে রয়েছে ভালো মানের প্রোটিন। তাই আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন সমন্বিত রাখা উচিত।
২) ভিটামিন সি :
ভিটামিন সি দেহের ইমিউন সিস্টেম বাড়াতে বেশ কার্যকরী। এটি মানব দেহের জন্য অনেক জরুরি একটি মাইক্রো নিউট্রিয়েন্ট। ভিটামিন সি-তে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। এটি ক্যান্সার, হৃদরোগ, কিডনি, উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়বেটিসের মতো রোগ মোকাবেলা করতে সাহায্য করে। দেশীয় কিছু ফলে ভিটামিন সি থাকে । যেমন- আমড়া, পেয়ারা, জাম্বুরা, আমলকী, বরই, বাতাবী লেবু ও কমলালেবু ইত্যাদি।
সবুজ শাক সবজী যেমন- কাঁচা পেঁপে, কাঁচা মরিচ, পুঁইশাক ও পালং শাকেও প্রচুর ভিটামিন সি রয়েছে।
৩) ভিটামিন বি-১২ :
দ্রুত রোগ থেকে মুক্তি পেতে ভিটামিন বি-১২ বেশ কার্যকরি। এর পাশাপাশি এটি রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বৃদ্ধিতেও সহায়তা করে। দুগ্ধজাত খাদ্যে ও ডিমের কুসুমে প্রচুর পরিমাণে ভিতামিন বি-১২ রয়েছে।
৪) বেশী PH সম্রিদ্দ খাবার গ্রহন করা ঃ ভাইরাস বা ব্যাক্টেরিয়ার রাসায়নিক ম্যাকানিজমে যে PH থাকে তাকে অকার্যকর করতে বেশী PH যেসব খাবারে আছে টা গ্রহন করলে ভাইরাস বা ব্যাক্টেরিয়ার রাসায়নিক ম্যাকানিজম নষ্ট হয়ে যায়, এতে ভাইরাস বা ব্যাক্টেরিয়া অকার্যকর হয়ে পড়ে। যেমন ঃ রশুন, আধা ইত্যাদি।
No comments